যাও সুখের সন্ধানে
লিখেছেন লিখেছেন মামুন ১১ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০১:৩৯:০৭ রাত
অপু আর হৈমন্তির কথা নিশ্চয়ই অনেকের মনে আছে? ইটপাথরের এই নগরজীবনে- খোপ খোপ বিচ্ছিন্ন সংসার নামের ক্ষুদ্র ইউনিটগুলোর একটিতে অন্য এক জোড়া অপু হৈমন্তি থাকে। সদ্য বিয়ে হয়েছে। দুজনে দু'জনার হয়েছে। হৈমন্তি তাই তো ভাবতো। ভাবতো? এখন ভাবে না। এখন কি ভাবে, হৈমন্তি?
পারিবারিক মতে বিয়ে। সবাই খুশী। আনন্দের জোয়ার। বইছে। উৎফুল্ল। চারিদিক। আলো-বাজনা-সানাই- মধুর রাগিণী। বেজেছিল। রেশ ছিল। বহুদিন। সুখ ছিলো? যেমনটি দেখা যাচ্ছে, আসলেই কি সব কিছু তেমন? স্বাভাবিক?
অন্তরে। বাহিরে। নিরন্তর?
ভালোবাসায় শরীর মূখ্য না হলে ও, ভালোবাসায় মুড়ে থাকে শরীর। যারা শরীরে ভালোবাসা খুঁজেন, ভুল পথে হাটছেন তারা।
অপু হৈমন্তি ও যার যার অনুভবে শরীর-মন-ভালোবাসা, ভালোবাসা-শরীর-মন একাকার করে নিজেদেরকে জানা শুরু করলো। এক সময় হৈমন্তি আবিষ্কার করে- অনুভবে উপলব্ধি করে-
' ওকে জয় করা এ জীবনে বুঝি আর হলোই নাহ! ওর জীবনের বিকেলগুলিতে এখন অন্য কেউ। ঘুরে বেড়ায়।'
সেই শেষ বিকেলের মেয়ে, হৈমন্তি কে অপুর মতো ' আমি পাইলাম! আমি ইহাকে পাইলাম!' অনুভবে মেতে উঠার সুযোগ আর বুঝি দিলো না! একা একা মুহুর্তগুলিতে হৈমন্তি ভাবে। পাওয়ার অনুভবে শীতের নরম রোদে দাঁড়ানোর উষ্ণ আমেজে ক্রমশ প্রগলভ হবার- মেতে উঠবার, সুযোগটা দিলো না। সেই মেয়েটি। শেষ বিকেলের।
অপু হৈমন্তিকে অবহেলা ও করে না। কেন জানি ভালোও বাসতে পারে না। তবে, কাছে দূরের অনুভবে সে ও একটু.. একটু.. করে ডুবতে থাকে। হৈমন্তি কি তা বুঝে?
এক যুবক যুবতি মাঝখানে শেষ বিকেলের এক মেয়েকে নিয়ে, সাইক্লিক অর্ডারে নিজেদের হৃদয়গুলোকে ওলট-পালট করে সুখ খুঁজে। পায় না। আরো গভীরে খুঁজে ।পায়। ফিরে আসে। শেষ হয়। আবার খুঁজে। পায় না... আবার.. বারবার। অনেকবার।
নিজেদের যার যার হৃদয়ের গোপন কথাগুলি তারা তিনজনই লুকায়। চেষ্টা করে। ধরা পড়ে। আবার লুকায়। সফল হয়। ফিরে আসে। চলতে থাকে। এভাবে... পৌণপুণিক..
অনুভবে কল্পনায় সুখ খুঁজে চলা এই তিনজন- সুখের দেখা পায় কি?
এভাবে সুখ পাওয়া যায়- না- নাহ?
বিষয়: সাহিত্য
৮০২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কত ছল-চাতুরী করিয়া...
সুখেরও নাগাল কভূ পাওয়া যায় না...
এ ভাবে....!!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন